প্রিয় উক্তি......

চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়..........

Tuesday, December 30, 2008

কোরিয়ায় উচ্চ শিক্ষা ও গবেষনাঃ আমার (তিক্ত) অভিজ্ঞতা (পর্ব-৮)

আমার কোর্স এন্ড রিসার্চ এক্টিভিটিস-তিক্ততার নতুন পর্ব শুরুঃ ২য় কিস্তি

সেদিন ছিলো ফেব্রুয়ারী মাসের কোন এক শুক্রবার, ক্যালেন্ডার দেখলে আজও ডেট বলে দিতে পারবো। সেদিনই হাতুড়ি নিয়ে সিমেন্টের দেয়াল ভাংগা। দেশে থাকতে নির্মান শ্রমিকদের এই ধরনের কাজগুলো দেখতাম দাড়িয়ে দাড়িয়ে, আর এখানে গবেষনা করতে এসে করতে হচ্ছে। আমার ধারনা আমি বোধশুন্য হয়ে গিয়েছিলাম, অথবা আর সবার মত ভীতু! তবে কাজটা করে যে ভালো লাগেনি তার প্রমান এই প্রথম ঘটনাটা প্রকাশ করলাম। নিজের পরিবার-বন্ধুবান্ধব কেউই জানতো না। এইবার হয়তো জানবে।

বেঞ্চ-শেলফ ভাংগার মাঝে মাঝে সিল চা নিম ভিটামিন ড্রিংক খাওয়ায়, ভাংগা শেষে লান্চ করাবে, প্রফেসরের নির্দেশ। এটা ওদের জাতীয় বৈশিষ্ট্য, কাজ করালে খাওয়াবে। আমার ততক্ষনে রাগ ফিরে আসছে, খাওয়ার ইচ্ছা নেই…কৃষ্ণা বুঝে জোর করে ধরে নিয়ে গেলো। লাঞ্চটা তড়িঘড়ি করে সেরেই ছুটলাম দুরবর্তী মসজিদে, শুক্রবার জুম্মাবার। কিন্তু দেরি হয়ে যাওয়ায় সাবওয়েতে ওঠার আগেই ফিরে এলাম। বাসায় ফিরে থম মেরে বসে রইলাম কিছুক্ষন। এরপর ল্যাব। ওখানে আরেকজনের স্বপ্নভঙ্গের আয়োজন চলছে।

সকালেই ল্যাবে বলে দেয়া হয়েছিলো লাঞ্চের পর সবাইকে গ্লাস-হাউজে যেতে, কাজ আছে। ভালারমাথি তখন একেবারেই নতুন, ১-২ দিন হলে এসেছে। তাই সে খুব এক্সসাইটেড, গ্লাস হাউস শুনতে ভালই লাগে, আর ওখানে কোন কাজ মানেই রিসার্চ নিয়ে কিছু হবে। সে আগে-ভাগে লাঞ্চ সেরে সবার সাথে গিয়ে হাজির, রিসার্চটা হলো ভাঙ্গা সিমেন্টের ব্লক গুলো বস্তায় ভরে সরাতে হবে। ওর চেহারা দেখার মত হয়েছিলো, স্বপ্নভঙ্গের বেদনা আর অনাকাঙখিত ঘটনার ধাক্কায় বিবর্ন। ওরা গ্লাস-হাউজে যাওয়ার একটু পর আমি হাজির। আমাকে দেখে বেচারী কাঁদো কাঁদো, বল্লো, এগুলো তোমাকে দিয়ে করিয়েছে, এটাই রিসার্চ! আমি শুকনো হাসি দেই। সেদিন থেকে আসলেও সবার মত ভীতু হয়ে গেলাম। আগের চেয়ে উৎসাহ কমতে থাকলো। আমার এই চেঞ্জ প্রফেসর ঠিকই খেয়াল করছে।

তো হোসাং-কে সাইজ করতে হবে, সে বীজ না দিলে এরপর রাজ-মিস্ত্রীর কাজও করতে বলবে। কাজে লাগালাম ভালারমাথি কে। কোরিয়ানরা জাতে মেয়েদের প্রতি দুর্বল, বুড়া থেকে জোয়ান, উচ্চশিক্ষিত থেকে অল্পশিক্ষিত, সব। ভালারমাথি তাই জিজ্ঞেস করতেই লিষ্ট বের হলো, কোন ওভেনে আর স্টোরে কোন মিউট্যান্ট-এর বীজ আছে। ওখানেও অনেক ঘাপলা, আমাদের দুইজনের সিলেক্ট করা মিউট্যান্টগুলোর অধিকাংশরই বীজ নাই, কোনটার ছড়া আছে, কিন্তু সব দানাই চিটা। আবারও হতাশ। প্রফেসর জানে সব বীজই আছে। আমি এইবার দেরি করলাম না, সরাসরি প্রফেসরকে বল্লাম, ফলাফল হোসাং নে! নে! (জ্বী! জ্বী!) করতে করতে ঝাড়ি খেলো। তাও যে কয়েকটা পাওয়া গেলো তাই দিয়ে শুরু করলাম কাজ।

এর মধ্যে একটা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হয়ে গেলো, আয়োজক ইউনি আর প্রফেসরের মুল রিসার্চ সোসাইটি। নামে ইন্টারন্যাশনাল হলে আসলে কোরিয়ানরা নিজেদের ভাষাতেই প্রেজেন্ট করলো। ওটাও হাসির খোরাক দেয়। সুওন থেকে আমার বন্ধু এলো সেই কনফারেন্স-এ। একটু শান্তি!

সব বিবেচনা করে ঠিক করে ফেল্লাম বউকে এখন আনবো না, সে প্রেগন্যান্ট, ওখানে কেয়ার নেয়ার কেউ নেই, আর টাকাতো বড় সমস্যা। ওর কেয়ার আর বাচ্চা রেয়ার, কোনটাই এই টাকায় হবে না। বুঝিয়ে বলি, স্কলারশীপ পেলেই নিয়ে আসবো।

একদিন কফি খাওয়া নিয়ে প্রফেসর একটা ছ্যাচড়ামী করলো। বেসিনের কাছে রাখা ইনস্ট্যান্ট কফির স্যাসে খুব দ্রুত শেষ হয়ে গিয়েছিলো, আমি ততদিনে কফি কমিয়ে দিয়ে চা’এর জন্য হা-পিত্যেশ করছি, দেশ থেকে কুরিয়ারে “ইস্পাহানী মির্জাপুর” টি-ব্যাগ পাঠানো হবে। তো কেউ কফি চুরি করলো নাকি নিজস্ব স্টকে রাখলো, তা দেখার জন্য প্রফেসের সবার ডেস্ক আর ড্রয়ার খুলে দেখলো, হায়রে ছোটলোক! এর দুদিন পর আমি কুরিয়ারে চা পেলাম। কোরিয়ায় রেডটি তেমন পাওয়া যায় না, নানারকম গাছপালার পাতা আর ফুলের পাপড়ি ওদের চা, তার সাথে ইদানিং গ্রীনটি। সিল চা নিম মাঝে মাঝে একটা করে টিব্যাগ নিতো, একদিন প্রফেসরের সামনে আমাকে বল্লো যেন প্রফেসরকে চা বানিয়ে খাওয়াই (রেনা কফি বানিয়ে খাওয়ায়!), প্রফেসর আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আমি উত্তরই দিলাম না।

মার্চের ১ তারিখে ওরিয়েন্টেশন হয়ে ফার্ষ্ট সিমেষ্টারের ক্লাশ শুরু হলো। কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ মাস্ট। সাথে ৩টা কোর্স। ৩ ক্রেডিট করে মোট ৯ ক্রেডিটের। ৪ সিমেষ্টারে ৩৬ ক্রেডিট। একটা কোর্স নিজ প্রফেসরের, প্রতি সিমেষ্টারেই তার কোর্স নিতে হবে। বাকি দুইটা কোর্সের একটা শুধু সেমিনারে প্রেজেন্ট হতে হয়, আর পেছনে বসে ঘুমালেই হয় (জনপ্রিয় পদ্ধতি!), আর দায়িত্বে থাকা শিক্ষককে মুখ দেখালেই এ+। ৩য় কোর্সটা তৎকালীন হেড এর। নিজেকেই একটা টপিক নিয়ে প্রেজেন্ট করতে হবে। শেষ দুইটা কোর্সের মিডিয়াম অব ইন্সট্রাকশন হাংগুমাল (কোরিয়ান ভাষা), ফরেনাররা ইংলিশে বলতে পারবে।

প্রফেসরকে ক্লাসে ইংলিশই বলতে হবে, কারন আমরা ৪ জন (দুই মংগো, ভালার আর আমি) তার ল্যাবের বিদেশী স্টুডেন্ট! সে মনোঃক্ষুন্ন এই জন্য। তবে ভালো মতই শুরু হলো কোর্সটা। আগেও বলেছি সে শিক্ষক হিসেবে খুব ভালো মানের। তাই ক্লাশগুলো উপভোগ্য হচ্ছিলো, কিন্তু ৩টা ক্লাশ পরেই সে এসাইনমেন্ট দেয়া শুরু করলো। এসাইনমেন্ট মানে হলো ল্যাব ও ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট ঠিক আছে নাকি দেখা। ভালার আর বলোরামাকে দেয়া হলো ৩টা স্পেকট্রোফটোমিটারের কোনটার রিডিং কেমন, কোন মেশিন কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে। আমাকে আর যায়াকে দেয়া হলো কঠিনটা। ন্যানোড্রপ নামের খুব এক্সপেনসিভ একটা স্পেকট্রোফটোমিটার ইউজ করে ক্লোরোফিলের পরিমান বের করা। এটা দিয়ে সাধারনত ডিএনএ-আরএনএ-প্রোটিনের কনসেন্ট্রেশন বের করা হয়। এই ইন্সট্রুমেন্টটাতে যেকোন অরগানিক সলভেন্টের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হয়েছে, আর পিগমেন্ট তো দেয়াই যাবে না। ক্লোরোফিল নিজেই পিগমেন্ট আবার এটা এক্সট্রাক্ট করতে বিভিন্ন অরগানিক সলভেন্ট ব্যবহার করতে হয়, যেমনঃ এসিটোন, ডিএমএফ, মিথানল। জেনেশুনে এমন এসাইনমেন্ট দেয়া! যা হোক চেষ্টা শুরু হলো, প্রতিসপ্তাহে রিপোর্ট প্রেজেন্ট করতে হয়, আমিই বেশি করি, উৎসাহ আমারই বেশি।

নরমাল স্পেকট্রোফটোমিটারের চেয়ে ন্যানোড্রপে ক্লোরোফিলের রিডিং কম আসে, আমি চেষ্টা করলাম একই স্যাম্পলের এই দুটা ভিন্ন মিটারের রিডিং এর ভেতর একটা লিনিয়ার রিলেশনসীপ বের করতে, যেনো একটা কনভারশন ফ্যাক্টর বের করতে পারি। প্রতি পদে পদে সমস্যা, এখানে ডিটেইলসে গেলাম না, বিরক্তিকর মনে হবে। আমি প্রতি ক্লাশে লেটেষ্ট আপডেটে সমস্যা গুলো বলি, যায়া গিয়ে বলে “নো পব্লেম”। কারন ওর ধারনা সে পজিটিভ বল্লেই প্রফেসর খুশি হবে। ভালারমাথি আমার মতই ফ্যাক্ট তুলে ধরে, বলোরামা বলে “নো পব্লেম”। ক্লাশে যায়া আর বলোরামা ঝাড়ি খায়, আর শোনে “এমন করলে আগামী বছর আবার এই কোর্স নিতে হবে।” আমি আর ভালারমাথি শুনি “নট এনাফ, ট্রাই আ বিট মোর”। ট্রাই চলতে থাকে।

এর মাঝে নিজের প্রজেক্টের কাজ শুরু করি, ডঃ গোহ-এর সাথে কাজ শুরু করি, কৃষ্ণার সাথে কয়েকটা প্রজেক্টে একত্রে কাজ করি, একটা পেপারের কো-অথরশীপ নিশ্চিত হয় (তেমনি কথা দেয়া হয়েছিলো)। ডঃ গোহ-এর সাথে শুরুটা খুবই ভালো হয় “প্রোটোপ্লাস্ট আইসোলেশন”-এর কাজ। প্রথম কয়েকটা এ্যাটেম্পটেই ভালো ফলাফল, কিন্তু তার উপর আমার প্রফেসরের চাপ, “শিখিয়ে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দাও।” গোহ-এর উৎসাহে ভাটা পড়তে থাকে, প্রজেক্ট এক জায়গায়তেই ঘুরপাক খায়।

একটা ভালো নিউজ পাই এপ্রিলের ৩য় সপ্তাহে। কোরিয়ান রিসার্চ ফাউন্ডেশন-এর স্কলারশীপের সার্কুলার। মে’র ৫ তারিখ লাষ্ট ডেট আবেদন করার। প্রফেসরের সাথে আলাপ করি প্রোপোজাল নিয়ে, সে বলে নিজে লেখো, না হলে আমার কোন প্রজেক্ট কপি করে দাও। ডঃ ইসমাইলের সাথে আলাপ করে একটা আইডিয়া নিলাম, লিখে ফেল্লাম একেবারেই নিজস্ব প্রোপোজাল, নিজের পিএইচডি। প্রফেসরকে দেখালাম, সে পড়েও না, বলে, “ওকে!” সব কাগজপত্র যোগাড় করে দিই, ল্যাব অফিস চুপচাপ থাকে। আমি তো সিরিয়াস, স্কলারশীপ পেতেই হবে, পেলে বউকে নিয়ে আসবো। কারন তখন পুরো ৯০০ ডলার আমার, প্রফেসর টিউশন ফি দিয়ে দিবে, কথা ফাইনাল। একেবারে লাষ্ট-ডে’তে লাষ্ট-মোমেন্টে ওরা জমা দিলো অনলাইনে, প্রফেসরের ভাষায় ” উই লাইক টু এনজয় দা ডেটলাইন।”

এভাবে দিন যায়, মাস যায়, আমি কোর্স নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠি, আগের এসাইনমেন্ট শেষ হয়, ফাইনাল রিপোর্ট-এ বলি “ন্যানোড্রপ ক্লোরোফিল এর পরিমান বের করার জন্য সুইটেবল না”। প্রফেসর খুশি না। নতুন এসাইনমেন্ট আসে “এইচপিএলসি” নিয়ে। ওটাও চলতে থাকে। এর মাঝে আর একটা কনফারেন্স, বন্ধু আসে সুওন থেকে, আমার যাওয়া হয় না। জুন মাসের ১৫ তারিখে সিমেষ্টার শেষ। দেশ থেকে সবার অনুরোধে সিমেষ্টার শেষে একবার দেশে আসো, স্ত্রীকে দেখে যাও, আর মেজ-ভাইয়ের বিয়ের ডেট ঐসময়ই ফেলা হবে। দুটোই হবে। আমিও সিদ্ধান্ত নেই একবার ঘুরে আসি, সবাইকে দেখে আসি, ভাইয়ের বিয়েতে থাকা হবে, বউকে দেখা হবে, ডেলিভারীর সময় হয়তো থাকা হবে না।

দেশে যাওয়ার কথা প্রফেসরকে বল্লাম, ভ্রু কুচকে তাকিয়ে থাকে, আমি তো যাবই, আমার চেহারা দেখেই বুঝার কথা। প্রথমদিন বলে “লেট মি থিংক!” আমি সুজাতাদিদির হেল্প নিয়ে টিকেটি বুকিং দেই। প্রফেসর থিংক করে বলে “ওকে যাও, কয়দিন থাকবা? ১০দিনের বেশি পারবা না”। অথচ ২০ দিনের ছুটি পাই! আমি জুনের ২৮ তারিখে রওনা দেবো, ফিরবো জুলাইয়ের ১৫ তারিখে। তাই বলে দিই। এখন প্রমান দেখাতে হবে যে আমি আসলেও রিটার্ন টিকেট কেটেছি, অর্থ্যাৎ আমি ফিরে আসবো। সো টিকেটের এক কপি প্রফেসরকে দেখাতে হবে।

রিসার্চের অবস্থা খুব ভালো না। প্রোটিয়েজ নিয়ে আমার প্রজেক্টটা হঠাৎ বন্ধ করে দেয়া হলো, এভাবে অতীতে অনেক প্রজেক্টই মাঝপথে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, কারন প্রফেসরই ভালো জানেন। কৃষ্ণার একটা পেপার মিস হয়ে গেছে এই জন্য, কৃষ্ণার আক্ষেপ, প্রফেসরের আক্ষেপ নেই। ডঃ গোহ এর সাথে একটা প্রজেক্ট, আর কৃষ্ণার সাথে ২টা প্রজেক্ট। মোট ৩টা চলছে।

ল্যাংগুয়েজ কোর্সের পরীক্ষায় পাস করে, কোর্সগুলোর রিপোর্ট জমা দিয়ে গুছিয়ে তৈরি হলাম দেশে যাবার জন্য। বুসান থেকে না গিয়ে আবার সুওন হয়ে ইনচোন এয়ারপোর্ট থেকে যাবো, বন্ধু কিছু জিনিসা পাঠাবে। তাই ২৭ জুন বিকালে রওনা দেবো সুওনের উদ্দেশ্যে, ২৮জুন ঢাকার উদ্দেশ্যে।

এর মধ্যে জেনে যাই কোর্সে দেয়া এসাইনমেন্ট গুলো আসলে বাধা এসাইনমেন্ট, আগের স্টুডেন্টদেরও দিয়েছে, এবং প্রফেসর জানে রিপোর্ট কি আসবে। এসাইনমেন্ট দিয়ে ব্যস্ত রেখে সিমেষ্টার শেষ করা। তার নিজের পরিশ্রম কমলো।

২৭ জুন, যাবার দিন সকালে আরেক যাদু দেখলাম। সেদিন প্রফেসর কোর্সে গ্রেডিং করে অনলাইনে দিয়ে দেবেন। ক্লাস-পারফরমেন্স আমার ভালো, এরপর ভালারমাথি। যায়া-বলোরামাকে তো থ্রেট দেয়া হয়েছে আগামী বছর আবার থাকতে হতে পারে। প্রফেসর গ্রেড দিয়েছে শুনে জিজ্ঞেস করলাম, যা জানলাম তাতে প্রথমে বিহবল, পরে প্রচন্ড রাগ এলো। এমনও হয়! বলোরামাঃ এ, যায়াঃ বি প্লাস, আমি আর ভালারঃ বি! হায়রে! এমন প্রফেসরের উপর শ্রদ্ধাবোধ থাকে কিভাবে? ভালারের গ্রেড পরে বাড়িয়ে বি প্লাস করা হয়েছিলো। ল্যাবে সবাই হাসছে, কৃষ্ণা-রেনা-কিরন-প্রকাশ-বাসু-ইয়াংজে! সুজাতাদিদি শকড্! সবার চোখের সামনে গত কয়েক মাসে যা হয়েছে, গ্রেড তার উল্টো।

সেই ক্ষোভ নিয়েই রওনা দিলাম দেশের উদ্দেশ্যে। বন্ধু বারবার বলে “ফিরে না এলে বল, আমি চলে আসবো কয়দিন পর”। আমি তখনও আশা ছাড়ি নি। দেখি না আর একটু!

চলবে……….

No comments:

Post a Comment